বাউফলে কলেজ কক্ষ থেকে বিপুল পরিমান দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার,আটক ১.
মোঃ হাফিজুল ইসলাম শান্ত স্টাফ রিপোর্টার
পটুয়াখালীর বাউফলের একটি কলেজের কক্ষ থেকে আগ্নেয়অস্ত্র ও বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্রসহ আনিচ তালুকদার (৪৪) নামে এক সন্ত্রাসীকে আটক করেছে পুলিশ।এ সময় তার অবস্থান নেয়া কক্ষ থেকে একটি বন্দুক, একটি পিস্তল, ছয় রাউন্ড গুলিসহ দেশীয় বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
শনিবার রাত আনুমানিক দুইটার দিকে উপজেলার কেশবপুর ডিগ্রী কলেজের একটি কক্ষ থেকে এসব অস্ত্রসহ তাকে আটক করা হয়। আটককৃত আনিচ কেশবপুর গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে।
পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার রাত দুইটার দিকে বাউফল সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার শাহেদ আহম্মেদ চৌধুরী ও বাউফল থানার ওসি এটিএম আরিচুল হকের নেতৃত্বে কেশবপুর ডিগ্রী কলেজের একটি টিনসেট কক্ষে অভিযান চালিয়ে এসময় বন্দুক, পিস্তল, ছয় রাউ- গুলিসহ দেশীয় বিভিন্ন থারালো অস্ত্র সহ আনিচকে আটক করা হয়।
এদিকে স্থানীয় সুত্রে, কেশবপুর ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান সাবেক অধ্যক্ষ সালেহ উদ্দিন পিকু কলেজের ওই কক্ষটি দীর্ঘদিন ধরে দখল করে আছেন। অভিযোগ রয়েছে, ওই কক্ষ থেকেই নিয়ন্ত্রন হয় কেশবপুর। ইউনিয়নের বিভিন্ন সমাজবিরোধী সন্ত্রাসী কর্মকান্ড। ধৃত আনিচ তার বডিগার্ড হিসেবে পরিচিত।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান সালেহ উদ্দিন পিকুর বক্তব্য নিতে মোবাইলে ফোন দিলে তার ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “আনিস আমার লোক না”।
কেশবপুর ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ মো. নুরুল আমিন খলিল বলেন, চেয়ারম্যান সাহেব যখন কলেজটির অধ্যক্ষ ছিলেন সেই সময় থেকেই তিনি ওই কক্ষটি ব্যবহার করতেন। কক্ষটি আর ছাড়েননি। আমি দায়িত্ব নেযার পর তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সদ্য প্রায়াত আল আমিন স্যারকে বলছিলাম আমাকে কক্ষটি বুজিয়ে দেয়ার জন্য। তখন তিনি বিষয়টি দেখবেন বললেও এখনো কক্ষটি চেয়ারম্যান সাহেব দখল করে আছেন। তাই এই ঘটনার দায় কলেজ কর্তৃপক্ষ নিবে না।
এ ব্যাপারে বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা টিএম আরিচুল হক বলেন, এ ঘটনায় আনিচকে আটক দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর সঙ্গে যারা সম্পৃক্ত আছে তাদেরকেও গ্রেপ্তারের অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি।