মোঃ আরিফুল হাসান, ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি

৫০০ টাকায় গরুর গোস্তের পরে এবার ১০০ টাকায় তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ফরিদপুরে। ৩০ টাকায় মিলছে আনারস। আর স্বল্পমূল্যে এসব পণ্য পেয়ে ক্রেতারাও দারুণ খুশি।

শুক্রবার (২২ মার্চ) সকালে ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সামনে সস্তায় এই তরমুজ আর আনারস কিনতে উৎসুক জনতার ভিড় জমে যায়। সেখানে পাঁচ কেজি ওজনের বড় তরমুজ ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর ছোট থেকে বড় আকারের তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা থেকে ১০০ টাকা। এর বাইরে শহরের গুহ লক্ষ্মীপুর ঈদগাহে বিক্রি করা হয় ৫০০ টাকা কেজি দরে গরুর গোস্ত।

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রেক্ষিতে ফরিদপুরে স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য এভাবে সস্তায় তরমুজ, আনারস ও গরুর গোস্ত বিক্রি করে ফরিদপুরবাসীর মন জয় করে নেয়ার কৃতিত্ব ডা. নাহিদ-উল-হক নামে স্থানীয় একজন ডাক্তারের।

ডা. নাহিদ-উল-হক বলেন, ফরিদপুরবাসী তথা সাধারণ মানুষের জন্য কিছু করার তাগিদ থেকেই থ্রি জেড ক্রিয়েটিভ মিডিয়ার পক্ষ থেকে এ উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। রমজানে গরুর গোস্ত ও তরমুজের ব্যাপারে সাধারণ মুসলমানদের মাঝে আবেদন রয়েছে। কিন্তু উচ্চমূল্যের কারণে তারা এতো দাম দিয়ে এই তরমুজ কিনে খেতে পারে না। তাদের জন্যই এই উদ্যোগ। এই উদ্যোগ পুরো রমজানে অব্যাহত থাকবে।

সাধারণ ক্রেতারা জানালেন, বাজারে বড় একটি তরমুজ ৫০০ টাকারও বেশি বিক্রি হচ্ছে। সেগুলো এখানে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায় পাচ্ছি।

শেখ আলমগীর নামে একজন অটোরিকশাচালক বলেন, এই রোজায় আজই প্রথম তরমুজ কিনলাম। সস্তায় পাইছি তাই কিনতে পারলাম। নিলয় নামে ক্রেতা তরমুজের কাটা অংশ দেখিয়ে বললেন, তরমুজের রংটা যেমন ভালো, ঘ্রাণও সুন্দর। দেখেই পছন্দ হইছে।

জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আবুল ফয়েজ শাহনেওয়াজ বলেন, এটি ডা. নাহিদ-উল-হকের একটি মহতি উদ্যোগ। গরিব ও নিম্ন আয়ের মানুষ এতে ইফতারে পরিবারের মানুষের মুখে একটু তরমুজ তুলে দেয়ার সৌভাগ্য পেলো। এই উদ্যোগ যেনো আরো ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। তার দেখাদেখি সামর্থ্যবান অন্যদেরও এভাবে এগিয়ে আসা উচিত।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ