ওমর ফারুক খান নাটোর প্রতিনিধিঃ
নাটোরের বড়াইগ্রামে ২০২৩- ২০২৪ অর্থ বছরে আধুনিক প্রযুক্তি সম্পসারণের এর মাধ্যমে রাজশাহি কৃষি বিভাগের আওতায় , কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের ২ দিন ব্যাপি কৃষক কৃষানি প্রশিক্ষন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত উনুষ্ঠানে আয়োজন করেন কৃষি সম্পসারণ অধিদপ্তর বড়াই গ্রাম। এ সময় অন্যান্যদের মাঝে অপস্থিত ছিলেন, উপজেলা কৃষি অফিসার , সারমিন সুলতানা,কৃষক কৃষানী প্রশিক্ষন কর্মশালার অনুষ্ঠানে উপজেলা কৃষি অফিসার সারমিন সুলতানা মোটিভেশনাল বক্তব্য প্রদান কালে তিনি বলেন রাজশাহী বিভাগ কৃষি ক্ষেত্রের জন্যে বাংলাদেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ।বাংলাদেশের শস্য ভান্ডার হিসেবে এ বিভাগ কে আখ্যায়িত করা হয়, এমন কী তিনি জানান শতকরা আশি ভাগ এর বেশি মানুষ এই জনপদে কৃষি পেশার সাথে জড়িত। প্রায় ৫০০ কোটি টাকা এ কৃষি প্রকল্পে কৃষি মন্ত্রনালয় থেকে বাজেট পাশ করা আছে। রাজশাহি বিভাগকে কেন্দ্র করে নতুন নতুন প্রযুক্তি নিয়ে আসা হয়েছে। যেন কৃষকরা কৃষি কাজ কে আরো সমৃদ্ধ করে কৃষি কাজ করে বাংলাদেশের উন্নয়ন ঘটাবে।
আউশ আর আমনের জাত সমন্ধে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।তার মধ্যে উল্যেখ যোগ্য সবজি বাগান ও পুষ্টি সমন্ধে আলোচনা করা হয়। তিনি আরো জানান বড়াইগ্রামে কৃষি কে আরো উন্নত করতে আধুনিক কৃষি যন্ত্রাংশ নিয়ে কৃষক কৃষানিদের মাঝে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।তার মধ্যে উল্লেখ যোগ্য, পাওয়ার রাইচ মিটার, পাওয়ার স্প্রেয়ার।
কৃষক কৃষানিদের মাঝে তিনি আরো বলেন আপনারা বানিজ্যিক কৃষি উৎপাদন করবেন। দিন এনে দিন খাওয়া এমন কৃষি কাজ করবেন না, কৃষি হবে বানিজ্যিক, কৃষি হবে আধুনিক, কৃষি হবে যান্ত্রিক।
রাজশাহি বিভাগে কৃষি উন্নয়নের প্রকল্পে কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যাপারেও প্রশিক্ষণ প্রদান করেন কৃষি কর্মকর্তা বৃন্দ।
সারমিন সুলতানা বলেন ১৮ কোটি জনগনের ৩৬ কোটি হাত এ হাতকে শক্তিশালি করে কৃষি কাজে লাগাতে হবে।কৃষিকে বাদ দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া সম্ভব হবে না। তাই সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ভুমিকা পালন করতে হবে কৃষি কে আরো উচ্চতর স্থানে পৌঁছে দেয়া সকলের নাগরিক দায়িত্ব।
কৃষক কৃষানিদের মাঝে প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,জেলা প্রশিক্ষক কর্মকর্তা, জেলা অতিরিক্ত কৃষি কর্মকর্তা, অতিরিক্ত পিপি,অতিরিক্ত উপ শস্য কর্মকর্তা, কৃষি প্রকৌশলী,
উপজেলা কৃষি অফিসার বড়াইগ্রাম ও সম্প্রসরন অফিসার।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ