রাকিবুল হাসান সাতক্ষীরা শ্যামনগর প্রতিনিধিঃ

শ্যামনগর উপজেলার মাদার নদীর চরের সোরা গ্রামের মিনি সুন্দরবনের প্রায় ১হাজারের অধীক ম্যানগ্রোভ প্রজাতীর গাছ কেটে সাবাড় করেছে দূঃবিত্ত্বরা।সরোজমিনে যেয়ে দেখা গেছে সোরার চরের মিনি সুন্দরবনের সোরা স্লুইজ গেট থেকে মোল্যা পাড়া মসজিদ পর্যন্ত ওয়াব্দা রাস্তার কাজ চলছে।ভেকু মেশিন দিয়ে ওয়াব্দা রাস্তার কাজ করতে যেয়ে মিনি সুন্দর বনের হাজার হাজার কেওড়া ও বাইন প্রজাতীর গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে।এলাকাবাসী জানান স্থানীয় ইউ, পি সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন সরোজমিনে উপস্থিত থেকে গাছ কাটিয়ে লেবার দিয়ে সাইজ করে ১৩০ টাকা মন দরে স্থানীয়দের কাছে বিক্রয় করছে।প্রতি ৬শ মিটার রাস্তায় ১৮ লাখ টাকা বাজেটে পানি উন্নয়ন বোডের ঠিকাদার মামুন কাজ পাওয়ার পরে ঐ কাজটি ৮লাখ টাকায় বুড়িগোয়ালীনির আমিনুর রহমান এর কাছে কাজ বিক্রয় করে দেয়। আমিনুর রহমান এই কাজ ভেকু মেশিন মালিকের কাছে ৬ লাখ টাকায় বিক্রয় করে দেয়।ভেকু মালিক স্থানীয় মেম্বারকে সাথে নিয়ে বনের গাছ কেটে নিচ্ছে বলে দেখা গেছে।মিনি সুন্দরবনের গাছ কাটা বন্দ করতে স্থানীয় সাংবাদিক হুমায়ুন কবির জনস্বার্থে হাইকোটে ৬১৯৪/১৪নং রিট আবেদন করেন।হাইকোটে চরের গাছ কাটা বন্দ করতে ভুমি প্রশাসন,বন প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনকে নির্দেশ প্রদান করেন।আদালতের এই নির্দেশ অমান্য করে গত১১মার্চ ভেকু মেশিন দিয়ে সোরার চরের মিনি সুন্দরবনের প্রায় ১ হাজার গাছ কেটে স্থানীয়দের কাছে বিক্রয় করার খবর পেয়ে রিট কারী হুমায়ুন কবির ঘটনাটি শ্যামনগরের উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করেন।উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নির্দেশে গত ১৩ মার্চ ইউনিয়ন ভুমি অফিস সরোজমিনে যেয়ে ১৩২ পিচ বাইন ও কেওড়া কাছ জব্দ করে এবং গাছ কাটা বন্দ করে দেয়। এদিকে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে মিনি সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ প্রজাতীর কাছ কেটে সরকারী সম্পদ তছরুফের অভিযোগ এনে ইউ, পি সদস্য আব্দুল্লাহ আল মামুন সহ ৫ জনের বিরুদ্ধ গত ১৩ মার্চ শ্যামনগর থানায় এক এজহার দাখিল করেন।উক্ত এজহারটি শ্যামনগর থানার এস আই লিটন আজ ১৪ মার্চ সরোজমিনে তদন্ত করেন।ঘটনার বিষয়ে এস আই লিটনের কাছে জানতে চাইলে তিনি তদন্ত করে গাছ কাটার সত্যতা পেয়েছে এবং আইনগত ব্যাবস্থা নেবেন বলে এই প্রতিবেদককে জানান।ঘটনার বিষয়ে কৈখালী ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তা আইনুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে সরোজমিনে যেয়ে কাটা ১৩২ পিচ গাছ জব্দ করি এবং গাছ কাটা বন্দ করে দিয়েছি। উক্ত গাছ কাটার বিষয় শ্যামনগর উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন যে আমি বিষয়টি আপনারদের কাছে শুনলাম আমি দেখছি কি করা যায়।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ