ভুক্তভোগীদের প্রশাসনের আশুহস্তক্ষেপ কামনা
====================================
মোঃ জাহিদ হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ
=======================
দিনাজপুর শহরের বনানী সুপার মার্কেটে প্রায় কোটি টাকা ইনভেস্ট করে ঢাকার নামকরা রেস্তরাঁর ধাঁচে গড়ে উঠা লিগ্যাসি চাইনিজ রেস্টুরেন্টটি ভবন মালিকের অসহিষ্ণু মনোভাবে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকার কারনে চাইনিজ রেস্টুরেন্টটির মালিক পথে বসতে বসেছে বলে অভিযোগ করেন লিগ্যাসি চাইনিজ রেস্টুরেন্টের মালিক রাহামাতুর রাফসান অর্নব এর মা মোছাঃ মনিরা পারভীন। তার দেয়া সাক্ষাৎকার ও দিনাজপুর কোতোয়ালি থানায় দাখিলকৃত অভিযোগসুত্রে উল্লেখ করেন গত ১০ডিসেম্বর ২০২০সালে দিনাজপুর শহরের বনানী সুপার মার্কেটে ভবনের মালিক ইসমাইল হোসেন তালুকদারের কাছে আমার ছেলে অর্নব জামানত বাবদ এককালীন ৫লক্ষ টাকা প্রদান করে ২০২৫সাল পর্যন্ত মাসিক ৩০হাজার টাকা ভাড়া প্রদানের অঙ্গীকার করে চুক্তিপত্র সম্পাদন করে প্রায় ৭০লক্ষ টাকার মালামাল ক্রয় করে উন্নত ডেকোরেশন করে লিগ্যাসি চাইনিজ রেস্টুরেন্টটি শুরু করে।শুরুর কিছুদিন যেতে না যেতেই পারিবারিক ও আমার ছেলে অর্নবের ব্যক্তিগত সমস্যা ও করোনার কারনে ব্যবসায় মনোযোগে কিছুটা ঘাটতি পড়ায় চাইনিজ রেস্টুরেন্টটি ঠিকমত পরিচালনা করতে পারেনি।আর এর মধ্যেই হঠাৎ ভবন মালিক ইসমাইল হোসেন আমার ছেলেকে কিছু না জানিয়েই রেস্টুরেন্টে তালা লাগিয়ে দেয় এবং আমার ছেলের প্রায় কোটি টাকা ইনভেস্টের ব্যবসা বন্ধ করে দেয় ।গত ২০২২সালে ভবনের মানিক ইসমাইল হোসেন তালুকদার বার্ধক্যজনিত কারনে মৃত্যুবরন করলে তার মেয়ে কানিজ তাকবীর ওরফে ফাতেমা নিটলির সাথে যোগাযোগ করে বকেয়া ভাড়া পরিশোধ করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের তালা খুলে দিতে বললে সে দিনের পর দিন সময় ক্ষেপন করতে থাকে।এদিকে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারনে আমার ছেলের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মালামাল অকেজো পরছে এমনকি আমার ছেলের প্রতিষ্ঠানের মুল্যবান অনেক জিনিসপত্র চুরি হয়ে গেলেও ভবন মালিকের মেয়ে নিটলি আমাদের কোন প্রকার অবগত করেননি।নিরুপায় হয়ে আমারা বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে বাঁচতে দিনাজপুর রেস্তরাঁ মালিক সমিতির শরনাপরনো হই।দিনাজপুর চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ,রেস্তরাঁ মালিক সমিতি বিভিন্ন সময়ে বসে সমাধানের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় ।অবশেষে রেস্তরাঁর মালিক সমিতির কাছে বকেয়া ভাড়া প্রদান করে ভবন মালিকের মেয়েকে নোটিশ করেও তাদের কোন ইতিবাচক সাড়া না পেয়ে গত ২০মার্চ বিকেল ৩টায় রেস্তরাঁ মালিক সমিতি দিনাজপুর জেলা শাখার সাধারন সম্পাদকসহ স্থানীয় গন্য মান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে আমার ছেলের চাইনীজ রেস্টুরেন্টের তালা খুলে দেয়।আমারা তালা খুলে ভিতরে করার একদিন না যেতেই ২১মার্চ ভবন মালিক মরহুম ইসমাইল হোসেন তালুকদারের বড় মেয়ে ফাতেমা নিটলি ভাড়াটিয়া গুন্ডাবাহিনী দিয়ে আমার ছেলেকে ভয়ভীতি দেখায় এবং আমাদের পুনরায় রেস্তরাঁ থেকে বের করে দিয়ে জোরপূর্বক আবারও তালা লাগিয়ে দেয় ।বর্তমানে আমরা এই চাইনিজ রেস্টুরেন্টের ব্যবসা করতে এসে নিস্ব হয়ে গেছি।ধার দেনায় ডুবে গেছি।কোটি টাকার ইনভেস্ট করে ব্যবসা করতে এসে মামলা,হামলার স্বীকার হতে হয়েছে আমার ছেলেকে।মানুষের চলার পথে ভুলভ্রান্তি হতে পারে কিন্তু সেই ভুলকে ইস্যু করে মেয়াদোত্তীর্ণ হবার আগেই আমাদের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান তালা লাগিয়ে দিবে এটা কতটা ন্যায়সঙ্গত । ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের তালা খুলে দিয়ে পুনরায় ব্যবসার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।এদিক ভবন মালিক মরহুম ইসমাইল হোসেন তালুকদারের মেয়ে ফাতেমা নিটলি প্রতিবেদককে জানান দীর্ঘদিন ধরে ভাড় না দেওয়ার কারনেই চুক্তিপত্র অনুযায়ী আমি ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে তালা দিয়েছি।
তবে ভবন মালিকের একটু সহোযোগিতা ও সহিষ্ণু মনোভাবেই আবার ঘুরে দাঁড়াতে পারে মুখ থুবড়ে পড়া চাইনিজ রেস্টুরেন্টটি এবং নিরসন হতে পারে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের মালিক ও ভবন মালিকের চলমান বিরোধ বলে মনে করেন একাধিক সচেতন ব্যক্তি বর্গ ।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ