মোঃ আরশাদ আলী সাতক্ষীরা থেকে।

সাতক্ষীরা জেলায় গত বছরের তুলনায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। তীব্র গরম উপেক্ষা করে দ্বিগুন মুজুরি দিয়ে কৃষকরা ধান ঘরে তোলায় ব্যস্ত। পুরুষ শ্রমিকের পাশাপাশি নারী শ্রমিকরা সমান তালে ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছে। সাতক্ষীরার মূল শ্রমিকের এক তৃতীয়াংশ ধান কাটায় নিয়োজিত। এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে দেড়গুন অর্জনের সম্ভাবনা রয়েছে। সরকারি ভাবে ধানের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩২ টাকা কেজি। সবচেয়ে বেশি বাম্পার ফলন হয়েছে সদর উপজেলায়।
সদর উপজেলায় ২৩ হজার ৫৮৫হেক্টর জমিতে ইরি ধান চাষ হয়েছে। উৎপাদিত ধান থেকে চাল উৎপাদন হবে ৯৭ হাজার ২৭৭ মে. টন। লক্ষ্যমাত্রা ছাড়া ২০-৩০ হেক্টর জমিতে বেশি ধান চাষ করেছে কৃষকরা।
দেবহাটা কৃষক করিম জানান, অনেক গরমে ধান কাটতে হচ্ছে। শ্রমিকদের বেশি মুজুরি দিয়ে ধান কাটছি। পুরুষের পাশাপাশি নারী শ্রমিকরা ধান কাটছে। গত বছরের তূলনায় এ বছর ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে ।
ফিংড়ী কৃষক রাজ্জাক জানান, ৪ বিঘা জমিতে ইরিধান চাষ করেছি। গত বছরের তুলনায় বাম্পার ফলন হয়েছে। ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছি। তীব্র গরমে শ্রমিকরা ধান কাটাতে অসুস্থ হয়ে পড়ছে অনেকে।
সদর ফিংড়ী ইউনিয়নের ফয়জুল্লাপুর গ্রামের কৃষক আয়ুব জানান, তিনি এবছর ১৬ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছে। তার ১৬ বিঘাতে জমিতে চাষাবাদে খরচ হয়েছে ১ লাখ টাকা। তিনি প্রথম গত ৬ এপ্রিল জেলায় ইরি ধান কাটা শুরু করেছে। তার বিঘা প্রতি ২৮/২৯ মণ ধান উৎপাদন হয়েছে। সদর বালিথা গ্রামের সাংবাদিক ও ইউপি সদস্য আরশাদ আলী জানান, তিনি ৩ বিঘা জমিতে ইরি ধান চাষ করেছেন। ইতিমধ্যে তিনি ধান ঘরে তুলেছেন। ৩ বিঘা জমিতে ৯০ মণ ধান উৎপাদন করেছে। কলারোয়া কৃষক আমিনুর রহমান বলেন, ফলন বাম্পার হয়েছে। কিন্তু তীব্র গরমে শ্রমিক সংকট দেখা গেছে। সাতক্ষীরার শ্রমিকরা জেলায় বাইরে গিয়ে মুজুরি বেশি নিয়ে ধান কাটছে। সে কারণে সাতক্ষীরা শ্রমিকদের বেশি মুজুরি দিয়ে ধান কাটা লাগছে। জেলা কৃষি কর্মকর্তা বলেন, জেলায় ৭৮ হাজার ৯ ২০ হেক্টর জমিতে ইরি ধান চাষ হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৩ লাখ ১৫ হাজার ৬৮০ মে.টন।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ