প্রিয়ব্রত ধর,নওয়াপাড়া (অভয়নগর) প্রতিনিধিঃমাঠেমাঠে পাকা ধানের সমারোহ। দিগন্তজুড়ে চলছে সোনালি ধানের দোলা। ইরি-বোরো ধানের বাম্পার ফলন কৃষকের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। চলছে ধান কাটার মহা উৎসব।
যশোর অভয়নগর মনিরামপুর জুড়ে চলছে ধান কাটার ধুম। কৃষক-কৃষাণীরা ধান কাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
অভয়নগরে এ বছর ধানের আবাদ হয়েছে ১৪ হাজার ২৩০ হেক্টর
জমিতে। শ্রীধরপুর ইউনিয়নে ধানের ক্রপকাটিয়ে পাওয়াগেছে
প্রতি বিঘা(৩৩ শতাংশে) ফলন হয়েছে ৩০ মন। কৃষি
কর্মকর্তা লাভলী খুতুন বলেন, এ বছর ধানের উৎপাদন ভাল হয়েছে।
আবাদকৃত ৭০ শতাংশ জমির ধান পেকেছে। বড় ধরনের দুর্যোগ
না হলে কৃষকদের ধান ঘরে তুলতে কোন সমস্যা হবে না।
কৃষি প্রধান এ উপজেলার শতকারা ৯০ ভাগ কৃষক ধান চাষের ওপর নির্ভরশীল। সাধারণত পৌষের মাঝামাঝি সময় থেকে মাঘ মাসের মাঝ পর্যন্ত এই ধান রোপণ করা হয়। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ পর্যন্ত ধানের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ জমির ধান প্রায় পেকে গেছে। কৃষক এখন পাকা ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। সোনালি ধানের ম-ম গন্ধে মনের আনন্দে কাজ করছেন তারা। কথা বলার মতো যেন ফুসরত নেই তাদের। এসব ধান নিয়ে কৃষক কৃষাণী যেমন ব্যস্ততা, তেমনি আনন্দও লক্ষ করা যাচ্ছে তাদের মধ্যে। কৃষকের ধান কাটার আনন্দ গ্রীষ্মের প্রচন্ড গরমকেও হার মানাচ্ছেন।
উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের আদিত্য ধর  বলেন, দাম ও আবহাওয়া ভালো থাকায় অন্য বছরের চেয়ে এবার অনেক বেশি ধান চাষ হয়েছে। ধান কাটার শ্রমিকের মজুরি একটু বেশি। মাথাপিছু শ্রমিককে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা দিতে হচ্ছে।
উপজেলার মশিয়াহাটি  গ্রামের কৃষক অসিম মন্ডল বলেন,আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় দ্রুত সময়ের মধ্যে ধান কেটে গোলায় তুলতে সক্ষম হচ্ছে কৃষকরা।
এ বছর তিনি ব্রি ধান ২৮ ও সুবর্ন ৩ ধান চাষ করে ব্যাপক ফলন পেয়েছেন।
ভাটবিলা গ্রামের কৃষক বাপন মল্লিক বলেন, সরকারি সহযোগিতা ও কৃষি কর্মকর্তাদের আন্তরিকতার কারণে কৃষকদের মধ্যে ধানচাষে আগ্রহ বেড়েছে। পানির অভাব ও ঝড় বৃষ্টি না হওয়ায় ধানের বাম্পার ফলন পাবেন বলে তার আশা।
উপজেলা কৃষি অফিসার লাভলি খাতুন বলেন, ইরি-বোরো মৌসুমে কৃষক যাতে লাভবান হয় সেজন্য তারা সার্বক্ষণিক নজর রাখছেন। যেখানেই সমস্যা দেখা যাচ্ছে সেখানেই দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছেন। অধিক ফলনের জন্য পরিমিত সার ব্যবহার, পানি সাশ্রয় এবং সার্বিক পরিচর্যায় কৃষকদের সচেষ্ট হতে সব সময়ই পরামর্শ দিয়ে আসছেন।
ধানে রোগবালাই ও চিটা কম হয়েছে। ধান পাঁকলেও গাছ এখনো শক্ত ও সতেজ রয়েছে। সব মিলিয়ে কৃষকদের এ জাতটি নজর কেড়েছে।
তবে বাজারে শ্রমিক কম থাকায় কিছুটা তহাশ কৃষক,প্রয়োজনীয় শ্রমিক মিলছে না,যে পরিমাণে তাপ দাহ তাতে শ্রমিক নিলেও তারা কাঙ্কিত কাজ করতে পারছে,এ মত অবস্থাতে কিছুটা বিপাকে কৃষক।
সরকারী সহযোগীতার মাধ্যমে প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষকের ধান কাটার ব্যবস্থা নেওয়ার আশা ব্যাপ্ত করেন কৃষক গণ।
ছবিঃ ৪৩ ডিগ্রী তাপদহে জীবনের ঝুকি নিয়ে সারা বছরের খাওয়ার ঘরে তুলতে ব্যাস্ত সময় পার করছে কৃষক কৃষাণী।ছবিটি গতকাল মনিরামপুর দিগঙ্গা গ্রাম থেকে তোলা।
পোস্টটি শেয়ার করুনঃ