মোঃ ইকরামুল হক রাজিব স্পেশাল ক্রাইম রিপোর্টার

বাগেরহাট রামপাল কোন প্রকার ওয়ারেন্ট,থানায় লিখিত অভিযোগ না থাকা সত্ত্বেও রামপাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মোয়াজ্জেম এর নির্দেশনা ক্রমে
অদ্য ১২ মার্চ আনুমানিক সন্ধ্যা ৬ টার সময় রামপাল উপজেলার শ্রীফলতলা গ্রামের মৃতঃ আমির আলী শেখ এর পুত্র রাকিব হোসেন(২০) কে রামপাল খামখেআলীর মোড় নামের স্থানে চায়ের দোকানে বসা থাকা অবস্থাতে রামপাল থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করতে যায়,রাকিব তখন পুলিশকে প্রশ্ন করে,আমার নামে কোন ওয়ারেন্ট থাকলে আপনি সেটা আমাকে দেখান,তার কোনো কথা না শুনে জোরপূর্বক ভাবে গ্রেফতার করে থানাতে নিয়ে যান এবং অদ্য ১৩ মার্চ আনুমানিক দুপুর ২ টার সময় রাকিব সহ-রামপাল উপজেলা বাঁশতলী গ্রামের মৃত সেখ ইসরাফিল এর পুত্র রাজিব,
শ্রীফলতলা গ্রামের মৃত সেখ আমির আলী’র কন্যা মোসাম্মৎ নীলা,
মৃত শেখ আমির আলীর স্ত্রী লতিফা বেগম কে -১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩২৫/
৩০৭/৩৫৪/৪২৭/৫০৬/১১৪ধারা দিয়ে এজাহার জুরু করে বিজ্ঞ আদালতে রাকিব কে প্রেরণ করা হয় ৷

লতিফা বেগম সংবাদকর্মীদের বলেন জমিজমা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ রামপাল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মোয়াজ্জেম এর সাথে আমাদের একটি বিরোধ চলছে,আমরা স্ট্যাম্পের উপর খিতভাবে সাক্ষী গনের সামনে জমি ক্রয় বাবদ টাকা পরিশোধ করি আমাদেরকে দলিল করে করে দেওয়ার কথা বলে দীর্ঘদিন যাবত নানা তাল বাহনা করে, তারই সূত্র ধরে,
উপজেলা চেয়ারম্যান এর আত্মীয় শ্রীফলতলা গ্রামের বাসিন্দা রাজ্জাক শেখ এর পুত্র শেখ মুহিত (৪৫) দীর্ঘদিন ধরে দশ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে আসছে,
অন্যথায় বসত বাড়িতে থাকতে দিবে না মর্মে হুমকি প্রদান করে থাকে,
অদ্য-০৩ মার্চ সন্ধ্যার সময় মোহিত ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমার বাড়িতে প্রবেশ করে এবং অকথ্য ভাষায় বকাবকি করে আমাকে ডাকতে থাকে, আমি ঘরের থেকে বের হয়ে আসলে কাঠের চলা দিয়ে আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করতে থাকে৷
আমার ডাক চিৎকারে আমার সন্তানেরা ও পার্শ্ববর্তী বাসিন্দারা ছুটে আসে এবং আমাকে উদ্ধার করে ৷
উক্ত ঘটনা আমার বড় সন্তান রাজিব ভিডিও ধারণ করে সংগ্রহ করতে থাকে ,
তখন রাজিব ত্রর উপর মহিত এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়,
এ সময় আমার ছেলে রাজিব এর হাতে থাকা ভিডিও ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙে ফেলে, এবং অকথ্য ভাষায় বকাবকি করে৷ রাজিবের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন৷
আমি সম্পূর্ণ ঘটনা ভিডিও করতেছিলাম
এটা মহিত দেখে মহিত তার সন্ত্রাসী বাহিনী আমার উপরে হামলা করে পরিস্থিতি অস্বাভাবিক দেখে আমি ৯৯৯ এ ফোন দিয়ে আইনের সহায়তা পাওয়ার জন্য বিনীত নিবেদন করে থাকি স্বল্প সময়ে রামপাল থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে
সার্বিক বিষয় পর্যালোচনার পরে উপস্থিত অনেকের কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা ও হাসপাতালে আমার আহত আম্মা কে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর নির্দেশনা দিয়ে চলে যায়, আম্মাকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য রামপাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ ভর্তি করি৷
লতিফা বেগম আরও বলেন ৷
আমি কিছুটা সুস্থ হয়ে বাড়িতে আসার পর থানায় লিখিত অভিযোগ নিয়ে হাজির হলে আমাকে কোন প্রকার আইনি সহায়তা প্রদান না করে ফিরিয়ে দেন৷
পরবর্তীতে বিজ্ঞ আদালতের একটি লিখিত মামলা দায়ের করি এই সংবাদ প্রতিপক্ষ শুনতে পেয়ে
আমাকেও আমার পরিবারের সদস্যদেরকে বিভিন্ন প্রকার হুমকি দেয় ৷
উক্ত ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার জন্য

উপজেলা চেয়ারম্যানের নির্দেশনা ক্রমে থানা থেকে পুলিশ এসে বিনা কারণে আমার ছোট ছেলে রাকিব কে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় একদিন রামপাল থানায় রেখে পরবর্তী দিন এজাহার দায়ের করেন এবং আদালতে প্রেরণ করেন ৷
আপনাদের মাধ্যমে আমাদের উপর ঘটে যাওয়া এই মিথ্যা মামলা ও অমানুষিক নির্যাতনের আমরা সুষ্ঠু বিচার চাই৷

উক্ত ঘটনার বিষয়ে রামপাল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোমেন দাস এর কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন,এই বিষয়ে আমাকে দোষ দিলে হবে না এই সম্পূর্ণ ঘটনা রামপাল উপজেলা চেয়ারম্যান শেখ মোয়াজ্জেম হোসেন করেছে,এবং রাকিবকে গ্রেফতার করা নির্দেশনা ও তিনি দিয়েছিলেন,আমরা গ্রেফতার না করলে আমাদের বিরুদ্ধে সাংবাদিক সম্মেলন করার কথাও বলেন।
মামলার তদন্ত অফিসার এসআই নিকুঞ্জ’র কাছে সংবাদকর্মীরা জানতে চাইলে তিনি বলেন এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না যা কিছু করেছি উপরের নির্দেশনায় এর বাইরে আমি কিছু বলতে পারব না ৷
উপজেলা চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেন হোসেন এর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি সম্পূর্ণ ঘটনা এড়িয়ে যান ৷

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ