রাকিবুল হাসান সাতক্ষীরা শ্যামনগর প্রতিনিধিঃ
বাগেরহাট ডিভিশনের, শরনখোলা রেঞ্জের অধিন জেলে পল্লী টহল ফাঁড়ী, দুবলা। দুবলায় প্রতি বছরে শীত মৌসুমে মৎস্যজীবীরা মাছ ধরা ও মাছ শুকিয়ে শুটকী তৈরী করে বাজার জাত করে নিজেদের ভাগ্য উন্নয়নের জন্য দলবদ্ধভাবে সাগর পারে দুবলায় আসে। মৎস্যজীবীরা বন বিভাগকে নির্ধারিত হারে রাজস্ব দিয়ে অস্থায়ী শুটকী ঘর নির্মাণ করে থাকে। দুবলায় কয়েকটি বড় বড় চর আছে, যথাক্রমে অফিস কেল্লা, মাঝের কেল্লা, আলোর কোল, শেলার চর, কোকিল মনি, নারিকেল বাড়ীয়া বিভিন্ন অঞ্চল থেকে যথাক্রমে চট্টগ্রাম কক্সবাজার খুলনা সাতক্ষীরা বাগেরহাট পিরোজপুর জেলার মৎস্যজীবী, মৎস্য ব্যবসায়ী ও শুটকী ব্যবসায়ীরা দুবলায় এসে অবস্থান নেয়। প্রতিটি চরে লোকে লোকারণ্য পরিবেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় বিভিন্ন ধরনের পসড়া সাজিয়ে বসে আছে দোকানদাররা এমন কোন জিনিস নেই যে পাওয়া যায় না এখানে।সবাই এখানে আসে ব্যবসার আসা নিয়ে। কিন্তু একেকটি চর এক এক প্রভাবশালী দাদন ব্যবসায়ী একেক সাহেবের নিয়ন্ত্রণে থাকে বলে জানা গেছে। জানাগেছে এই চর গুলো যথাক্রমে জারা দখল করে থাকে তারা হলেন কামাল ,রাজা , মুক্তা, খোকন,টোকেন,আলমগীর ইত্যাদি ইত্যাদি সুবিধাবাদী সাহেবদের রাজত্ব চলে সেখানে।চর দখল নিয়ে সাহেবদের মধ্যেও চলে অস্ত্রের ঝনঝনানী ও শক্তি প্রদর্শন। সাহেবদের নিয়োজিত মেঝো সাহেব ছোট সাহেব তারা দিবারাত্রি চর চষে বেড়ায় তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকার বাহিরে জেলেরা যেন মাছ বিক্রি করতে না পারে। সাহেবদের নির্ধারিত মূল্যে মাছ বিক্রি করতে হবে এবং সাহেবদের নিয়োজিত প্রতিনিধির কাছেই মাছ বিক্রি করতে হবে এর ব্যত্যয় ঘটলে অসহায় জেলেদের উপর নেমে আসে অত্যাচার নির্যাতন ভয়ে আতংকে আতংকিত হয়েই অসহায় জেলেরা এই সাহেবদের কুর্নিশ করে থাকতে বা চলতে বাধ্য হয়।জেলেরাওবাওয়ালিরা বন বিভাগ থেকে সরকার নির্ধারিত রাজস্ব পরিশোধ করে বৈধ পাস পারমিট সংগ্রহ করে সাগরে মাছ আহরণ করে থাকে।এতে বন বিভাগ প্রতি মাসে লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব আয় করে থাকে। অথচ এই মৎস্যজীবীদের কোন স্বাধীনতা নেই। মাছের ন্যায্যমূল্য থেকে মৎস্যজীবীরা বঞ্চিত। মৌসুম শেষে প্রভাবশালী দাদন ব্যবসায়ী সাহেবরা তৃপ্তির ঢেকুর ফেলে পেট ডলতে ডলতে বাড়ী যায় অপর দিকে অসহায় জেলেরা মাথা চাপরিয়ে চোখ ডলতে ডলতে বাড়ী যায়!! এই অন্যায় অনিয়ম দেখার মতো কোন কর্তৃপক্ষ আছে বলে মনে হয় না দুবলার চরে ! দুবলার চরে সাগর পারে হিন্দু সম্প্রদায়ের রাস পূর্ণিমা সাগর স্নান নামে চলে হরিণ খাওয়ার মহা উৎসব । হিন্দু সম্প্রদায়ের সাগর স্নান হলে ও মুসলিম সম্প্রদায়ের হাজার হাজার হাজী গাজী সেখানে উপস্থিত হয় একমাত্র উদ্দেশ্য হরিনের মাংস দিয়ে ভূরিভোজ করা । এই বিশাল সুন্দর বনে অজস্র খাল ভারানীতে হাজার হাজার দর্শনার্থী বন বিভাগের স্বল্প সংখ্যক কর্মচারী দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা কোনক্রমেই সম্ভব নয়। বন ও বন্যপ্রাণী রক্ষার্থে দুবলার চর থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের রাস পূর্ণিমা উৎসব অন্যত্র স্থানান্তর করে দুবলায় চিরতরে রাস পূর্ণিমা উৎসব বন্ধ করার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী মহোদয় সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করা যাচ্ছে।।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ