মোঃ জাহিদ হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি ॥ “তথ্য দেওয়া বাধ্যতামূলক, তথ্য চাওয়াটাও নাগরিকের দায়িত্ব” -এই শ্লোগানকে সামনে রেখে আধিবাসীদের বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে ফিরিয়ে আনতে ২নং সুন্দরবন ইউনিয়নের ফার্মের হাট সংলগ্ন ঘোসালপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় (আদিবাসী স্কুল) রিসার্চ ইনিশিয়েটিভ বাংলাদেশ (রিইব) এর আয়োজনে এবং ১৩তম ঐতিহাসিক সান্তান আদিবাসী সাংস্কৃতিক মেলা কমিটি ও দিনাজপুর তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়ন জেলা কমিটির সহযোগিতায় নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে ২ দিনব্যাপী তথ্য ও আদিবাসী মেলা-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রথম দিন আদিবাসী যুবকদের নিয়ে ফুটবল টুর্নামেন্ট ও পুরষ্কার বিতরণ এবং পরের দিন আদিবাসীদের বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্যকে জাগ্রত করতে ও প্রজন্ম আদিবাসীদের জীবনমান উন্নয়নে তাদের সাংস্কৃতিক চর্চাকে ধরে রাখতে নাচ-গানসহ বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক উৎসবে শত শত আদিবাসী নর নারী দূর দূরান্ত থেকে এসে মেলায় অংশ নেয় এবং উপভোগ করে। মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রিইব ঢাকা হতে আগত পরিচালক নাসিমা পারভীন, সহকারী পরিচালক এ্যাডঃ রুহি নাজ ও সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার মোঃ মতিউর রহমান। এছাড়া দিনাজপুর আরটিআই গ্রুপের সভাপতি মোঃ সামিউল আলম, সহ-সভাপতি অনামিকা পান্ডে, সাধারণ সম্পাদক মোঃ নওশাদ হোসেন, সদস্য কাশী কুমার দাস, অধ্যক্ষ টি হাসদাক, এএস মাইনুদ্দীন সুমন, মোসাদ্দেকুল ইসলাম মুকুল, মুকিদ হায়দার শিপন, গৌতম ঘোষ, রাসেল রানা, শিবানি উরাও, মায়া রানী, মারুফা বেগম, আশরাফুল ইসলাম, বিউটি আরা, আসতারুল আলম। তথ্য ও আদিবাসী মেলাকে ঘিরে জেলা তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়ন কমিটি কর্তৃক দেওয়া স্টলে আদিবাসী নারী পুরুষরা তথ্য অধিকার আইন সমন্ধে বই লিফলেট, আবেদন ফরম গ্রহন করে এবং আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতি ঐতিহ্য ও তাদের সাজ-সজ্জা, কাপড়-চোপড় ও নানা ধরনের মুখরোচক খাদ্যের দোকান বসে মেলায়। সেখানে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা হতে আগত আদিবাসী নারী পুরুষেরা তাদের পছন্দমতো জিনিসপত্র ক্রয় করে। ২ দিনব্যাপী তথ্য ও আদিবাসী মেলা যেন আদিবাসীদের উৎসবমূখর প্রাণের একটি উৎসব। সঞ্চালকের দায়িত্ব পালন করেন আদিবাসী মেলা কমিটি সভাপতি মানিক সরকার মুর্মু।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ