এম এইচ শান্ত স্টাফ রিপোর্টার

পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলায় আগাম তরমুজ চাষে দ্বীগুন খরচে অর্ধেক ফলন লাভের মুখ দেখতে দিন গুনছে চাষিরা। ৫০%ফলন কেড়ে নিল অকাল বৃষ্টি ও ঘনকুয়াশায় যার ফলে দ্বীগুন টাকা গুনতে হচ্ছে তরমুজ চাষীদের। প্রতি বছরের ন্যায় বাংলা অগ্রহায়ণ মাস থেকে তরমুজ চাষিরা জমি চাষের পর বীজ রোপন কাজ শেষ করে ভালো ফলনের আশায় বিভিন্নভাবে কীটনাশক ও সার পানি দীর্ঘদিন ব্যবহার করে তরমুজ গাছের পরিচর্যা করেন, এরপরই নির্দিষ্ট সময়ে গাছে যখন ফলন আসে তখনই বৈরী আবহাওয়ায় অকাল বৃষ্টি ও ঘন কুয়াশায় ছোট ছোট ফল গুলি জ্বলে মাটিতে পড়ে যায়,ফলের উপরে কুয়াশায় ডাকা থাকে আবার নিচে জমির মাটি থাকে ভেজা , যার কারণেই তরমুজ চাষিরা ক্ষতির মুখে পড়ে যায়, এবং গাছের বয়স বেশি হয়ে গেলে ফল না আসা পর্যন্ত পুনরায় তরমুজ গাছ তাজা রাখতে, কীটনাশক ও সার ব্যবহার করতে হয়, যার কারনেই দীগুন টাকা তরমুজ চাষীদের খরচ করতে হয়, অনেকেরই গুনতে হয় লোখশান।

এবিষয়ে চরবিশ্বাস ইউনিয়নের তরমুজ চাষী মাহবুব শিকদার বলেন , আমি এবছর ৭.৫ একর জমিতে আগাম তরমুজ চাষ করি , একর প্র্তি ৫০ হাজার টাকা খরচ করি আমার তরমুজ গাছে নির্দিষ্ট সময়ে একে একে তিনবার ফলন এসেছিলো কিন্তু ঘনকুয়াশা ও অকাল বৃষ্টিতে ফলন কেড়ে নেওয়ায় ৭.৫ একর জমি থেকে গড়ে ৪.৫ জমিতে ফলন পেয়েছি, যা বিক্রি হয়েছে ১০ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা।এরপরও হালছেড়ে দেইনি বাকি জমিতে পুনরায় ফলন আসায় সেটা বিক্রি করে লাভবান হওয়ার আশা করি ইনশাল্লাহ।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ