মোঃ জাহিদ হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি
ল্যান্ডেসা – স্ট্যান্ড ফর হার ল্যান্ড, জন নারী পরিষদ দিনাজপুর এবং সিডিএ এর আয়োজন ও এএলআরডি এবং বাংলাদেশ ল্যান্ড রাইটস নেটওয়ার্কের সহযোগিতায় দিনাজপুরে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে নারী সমাবেশ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
৪ ঠা মার্চ ২০২৪ সকাল ১১ টায় দিনাজপুর ইনষ্টিটিউট মাঠ প্রাঙ্গনে নারী সমাবেশ ও আলোচনা সভার শুরুতেই জাতীয় সংঙ্গীত পরিবেশ, শহীদের বিদ্রেহী আত্নার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপনে ১ মিনিট নিরবতা পালন, নবরুপীর আয়োজন নৃত্য পরিবেশ করা হয়।
আলোচনা সভার শুরুতেই সুচনা বক্তব্য রাখেন এএলআরডির উপ-নির্বাহী পরিচালক রওশন জাহান মনি। নারী বিষয়ের উপর পেক্ষাপট নিয়ে আলোচনা করেন ঢাকা সিএফকে’র ফ্রিল্যান্স গবেষক ও সম্মনয়কারী গাজী মো: সোহরাওয়ার্দী। উন্মক্ত আলোচনায় তৃণমূল নারী সদস্যগন খোলামত পোষণ করেন।
অতিথিদের আলোচনা সভায় নারী সাংবাদিকদের কাজের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন নারী সাংবাদিক কেন্দ্রের সভাপতি নাসিমুন আরা হক মিনু,
জন-নারী ঐক্য পরিষদের সভাপ্রধান শাহানা বেগম এর সভাপতিত্বে অতিথিদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড.রোবায়েত ফেরদৌস, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃ-বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড.আইনুন নাহার, স্ট্যান্ড ফর হার ল্যান্ড প্যারালিগ্যাল কমিটির সভা প্রধান সাবিনা হেমব্রম। পটুয়াখালী গলাচিপা ভূমিহীন সমবায় সমিতির নারী নেত্রী সখিনা বেগম।
এছাড়াও নারীদের বিভিন দিকনির্দেশনা মুলক বক্তব্য রাখেন কৃষ্ণপদ মুন্ডা, বিচিত্রা তিরকি, লিপি রহমান মমতাজ বেগম, আফজাল হোসেন, ড.মারুফ বেগম, সিডিএর নির্বাহী পরিচালক শাহ্ মবিন জিন্না, জ-নারী ঐক্য পরিষদের প্রধান শাহানা দলেন নৃত্য পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।
উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক নারী দিবসের সমাবেশে নারীদেও ৯ টি দাবী তুলে ধরা হয়েছে সেগুলো হলো
১। ‘গ্রামে ভূমিহীন মানুষ আছে, (বিদ্যমান অবস্থান করতে হবে। ভবিষ্যতেও থাকবে’ এই কঠিন বাস্তবতা বিবেচনায় রেখে নীতি-নির্ধারণ উন্নয়ন কর্মসূচী প্রণয়ন-ব্যস্তবায়ন। ২. ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে সঠিক যাচাই বাছাইয়ের ভিত্তিতে প্রকৃত ভূমিহীনদের একটি তথ্যভাণ্ডার তৈরি করতে হবে। তালিকা অনুযায়ী অগ্রাধিকারভিত্তিতে ভূমিহীনদের ঘর ও খাসজমি প্রদান করতে হবে। এক্ষেত্রে নারীপ্রধান ভূমিহীন খানাগুলোকে এবং সমতলের আদিবাসী জনগোষ্ঠীকে বিশেষ অগ্রাধিকার দিতে হবে। ৩. খাসজমি বন্দোবস্ত প্রদান নীতিমালার অগ্রাধিকার তালিকায় উল্লেখিত নারী প্রধান পরিবারের ক্ষেত্রে সক্ষম পুত্র সন্তান থাকার শর্ত/বিধান অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। ৪. নারী কৃষকদের আলাদা তালিকা প্রস্তুত করে তা জনসম্মুখে প্রকাশ করতে হবে। ৫. খাসজমি-জলা চিহ্নিত করে মৌজা অনুযায়ী তালিকা তৈরী করতে হবে। চরাঞ্চলে দিয়ারা জরিপ করে দ্রুত খাসজমি চিহ্নিত ও সেই তথ্য ভূমি অফিসে প্রকাশ্য স্থানে প্রদর্শন করতে হবে। ৬. প্রকৃত ভূমিহীনদের মাঝে নীতিমালা অনুযায়ী খাসজমি-জলার স্থায়ী ও একসনা বন্দোবস্ত দ্রুত চালু করতে হবে। ৭. আশ্রয়ণ প্রকল্পে প্রতি পরিবারের জন্য গৃহ বাদে কমপক্ষে ৫ শতাংশ কৃষিজমি বরাদ্দ দিতে হবে। এছাড়া ঘরের মান নিশ্চিত করার জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ দিতে হবে। নিয়মিত মনিটরিং-এর মাধ্যমে যারা ঘর ব্যবহার করছেনা বা ভাড়া দিচ্ছে তাদের বরাদ্দ বাতিল করে বাদ পড়ে যাওয়া প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীনদের বরাদ্দ দিতে হবে। ৮. সকল কৃষি খাসজমির প্রকৃত তথ্য উন্মুক্ত স্থানে জনঅবগতির জন্য প্রকাশ করতে হবে এবং কৃষি খাসজমি প্রভাবশালী অবৈধ দখলদারদের দখলমুক্ত করতে হবে। ৯. নদী, খাল, জলা ভরাট করা জমিকে খাস দেখিয়ে তাতে আশ্রয়ণ প্রকল্প করা পরিবেশ সুরক্ষার স্বার্থে বন্ধ করতে হবে।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ