সাতক্ষীরা প্রতিনিধি: সাতক্ষীরা সদরের বাঁশদহা ইউনিয়নের মির্জানগর দাখিল মাদ্রাসার অফিস সহকারী অছিকুর রহমানকে মারপিট করে পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ওই আ.লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অছিকুর রহমান বলেন, গত মঙ্গলবার মাদ্রাসা ছুটি হবার মিনিট তিনেক আগে নবম শ্রেণীর ছাত্র নবম মোহাম্মদ আলী ও মারুফ হোসেন লুঙ্গি পরে মাদ্রাসায় প্রবেশ করে সিড়ি দিয়ে ওপরে ওঠে। এসময় তারা মাদ্রাসার মেয়েদের দেখে কটুক্তি করলে আমি নিষেধ করি৷ পরবর্তীতে আমি বিষয়টি মোহাম্মদ আলীর অভিভাবকদের বলি। তখন অভিভাবকরা মোহাম্মদ আলীর কাছে জানতে চাইলে মোহাম্মদ আলী কটুক্তির বিষয়টি অস্বীকার করে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য তাদেরকে বলে। ওই দিন রাত ৯ টার দিকে বাঁশদহা ইউনিয়নের কাওনডাঙ্গা বাজার থেকে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফিরছিলাম। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় খলিলের বাড়ি সামনে আসামাত্র বাঁশদহা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি ও কাওনডাঙ্গা গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে তার ভাই মারুফ হোসেন, বেলাল হোসেনের ছেলে ফেরদৌস, নওশের আলীর ছেলে ইসমাইল হোসেনসহ অজ্ঞাত ২/৩ জন লোহার রড, হাতুড়ী ও বাঁশের লাঠি দিয়ে আমার উপর হামলা করে। তাদের হামলায় আমার বাম পা ভেঙে গেছে। তাছাড়া তারা আমার সমগ্র শরীর থেতলে দিয়েছে। এসময় তার আমার কাছে থাকা ২ লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এসময় আমি চিৎকার দিলে স্থানীয়রা ছুটে আসলে আসামীরা আমাকে হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয়রা আমাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।  সাতক্ষরা থানার এসআই ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘হামালার ঘটনায় অছিকুর রহমানের বাবা জালাল উদ্দীন বাদী হয়ে ৪ জনকে আসামী করে একটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় ফারুক হোসেনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।’

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ