মোঃ জাহিদ হোসেন, দিনাজপুর প্রতিনিধি।।

আজ ১৪ এপ্রিল ২০২৪ ইং তারিখে রবিবার আনুমানিক ১২ঃ০০ ঘটিকায় সময় হতে দিনাজপুর জেলার কোতয়ালী থানাধীন পৌর সভার এলাকার বড় বন্দর রেলবাজার হাটের বিভিন্ন ধরনের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে পৌরসভা কর্তৃক খাস কালেকশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মীদের সাথে দোকান ব্যবসায়ীদের এর নিকট থেকে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করার কারণে একটি মারামারি সৃষ্টি হয়। এ ঘটনা কি ঘটেছে দিনাজপুর শহরের বড় বন্দর এলাকার রেল বাজার হাটে। দিনাজপুর কোতয়ালি থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায় যে মোসাম্মৎ আছিয়া বেগম (আশা) স্বামী মোঃ জাবেদ আলী পিতা মৃত আশরাফ আলী সাং ফকিরপাড়া থানা কোতয়ালি জেলা দিনাজপু র। তিনি অভিযোগে এবং সাংবাদিকদেরকে জা নান বিবাদী মোঃ মাসুম চৌধুরী পিতা অজ্ঞাত, মোঃ ইদ্রিস আলী ঈদন , পিতা অমৃত আতাব উদ্দিন সাং কালুর মোড় । মো, ঝুম্মন পিতা মৃত রাজা। মোসাঃ শাহানাজ বেগম স্বামী মোঃ মিল্টন, মোঃ মুরাদ হোসেন পিতা মৃত মাসুদ আলী সর্ব -সাং, ফকিরপাড়া থানা কোতয়ালী জেলা দিনাজপুর। ১০ থেকে ১২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি আরো জানান আমি বিগত তিন বছর ধরে বড় বন্দর রেল বাজার হাটের ইজারাদার ছিলাম । আমার মেয়াদ শেষ হওয়ায় বর্তমানে রেল বাজার হাটটি খাস কালেকশনের অন্তর্ভুক্ত হইয়াছে।দিনাজপুর পৌরসভার লোক দ্বারা খাস কালেকশনের নীতিমালা থাকলেও উপরোক্ত বিবাদী হাতে লাঠি সোটা দাঁড়ালো চাপাতি সহ ইত্যাদি নিয়ে আনুমানিক দুপুর ১২ ঘটিকায় সময় হতে রেল বাজারে হাটে আসিয়া জোরপূর্বক সাধারণ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের নিকট নীতিমালার চাটের বাহিরে জবরদস্তি করে অস্ত্রশস্ত্র দেখিয়ে অতিরিক্ত খাজনা আদায় করিতেছে। পৌরসভার খাস কালেকশনের খাজনা উত্তোলনের কর্মী এবং স্থানীয় কতিপয় কিছু এলাকার ব্যক্তিবর্গগণ জোকসাজক করে জোরপূর্বক প্রতিজন ব্যবসায়ীদের নিকট অতিরিক্ত ৮০ টাকা হতে ১৫০ টাকা পর্যন্ত খাজনা নামে চাদা আদায় করিতেছে। এ বিষয় নিয়ে জানিয়েছেন রেলবাজার দোকান মালিকেরা। এ বিষয় নিয়ে মৌখিকভাবে প্রতিবাদ করতে গেলে বিবাদীরা মোসাম্মৎ আসিয়া আক্তার আশাকে সহ সাধারণ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের কে মারপিট করে এবং হত্যার হুমকি সহ বিভিন্ন রকম ভয় ভীতি প্রদান করে। এছাড়াও আদা, রসুন, ও পিয়াজ মরিচ এর ব্যবসায়ী শ্রীকৃষ্ণকান্ত রায় দীর্ঘদিন যাবত সুনামের সাথে ব্যবসা করে আসেন। তিনি একজন সৎ মানুষ । তিনি বলেন আমরা নীতিমালা অনুযায়ী খাজনা দিব। নীতিমালার বাইরে আমরা খাজনা দিবোনা এ কথা বলতে গেলে তার দোকানের মালামাল গুলো উল্টিয়ে ফেলে দেয়।এরপর অজ্ঞাতনামা কিছু লোকজন তার দোকানে এসে তাকে বেপরোয়া ভাবে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাত করেন। পরবর্তীতে তার চিৎকার শুনে পার্শ্ববর্তী দোকানদাররা এগিয়ে আসেন ।কৃষ্ণকান্তর এরকম আঘাতপ্রাপ্ত হওয়া দেখে আশেপাশের লোকজন এসে তাহাকে দ্রুত হসপিটালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। একই কৌশলে ফকির পাড়ার এলাকার শাহানাজ নামের এক ব্যক্তি নুরবানু নামের এক কাপড়ের দোকানদারকে মারধর করেন । এই মারামারির ঘটনার বিষয় নিয়ে দ্রুত পুলিশ খবর পেলে ঘটনা স্কুলে এসে পুলিশ নিয়ন্ত্রণ করে।। বড় বন্দর রেলবাজার হাটের সকল দোকান মালিক ব্যবসায়ীরা জানান আমরা এর সঠিক বিচার চাই। সঠিক বিচার না পাওয়া পর্যন্ত আগামী বৃহস্পতিবারের হাটের দিনে সকলেই দোকান বন্ধ করে রাখবো। বিষয় নিয়ে রেলবাজার হাটের সমিতির সভাপতি নজুল ভাই সঙ্গে কথা বললে তিনি জানান আগে পরিস্থিতি ভালো ছিল। কিন্তু বর্তমানে পরিস্থিতি ভালো না। দোকানদাররা অতিরিক্ত খাজনা প্রদান করবেন? এটাতো আমারও প্রশ্ন ভাই। দোকান মালিকেরা আরো জানান দিনাজপুর পৌরসভা এবং ডিসি অফিসের নীতিমালা কে ভঙ্গ করে যারা ইচ্ছামতো নিজেদের স্বার্থের জন্য আমাদের নিকট অতিরিক্ত খাজনা আদায় করিতেছ তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। সেই সাথে দোকান মালিকগণ দিনাজপুরের সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানান সঠিক খাজনা দেওয়ার নীতিমালা তৈরি করে দিয়ে আমাদের প্রতিটি দোকান ব্যবসায়ী দেরকে ব্যবসা পরিচালনা করে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক এটাই ব্যবসায়ীদের দাবি।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ