রাকিবুল হাসান (সাতক্ষীরা) শ্যামনগর প্রতিনিধি: সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ঐতিহ্যবাহী দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জয়নগর আমিনিয়া হামিদিয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসায় কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর ও গবেষণাগার/ ল্যাব সহকারী পদে নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। নিয়োগ পরীক্ষা হওয়ার আগেই জানা যাচ্ছে কোন পদে কে চাকরি পেতে যাচ্ছেন। আবেদনকৃত প্রার্থীদের পরীক্ষা দিতে আগ্রহ নেই বলে অনেকে জানিয়েছেন। এব্যাপারে সাতক্ষীরা ৪ আসনের নব নির্বাচিত এমপি আতাউল হক দোলনসহ জেলা প্রশাসক এবং জেলা শিক্ষা অফিসারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন সচেতন মহল। মাদ্রাসা সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ আগস্ট ২০২৪ একটি জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকায় কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর ও গবেষণাগার/ ল্যাব সহকারী পদে একজন করে নিয়োগ দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর পদে ৯ জন এবং গবেষণাগার/ ল্যাব সহকারী পদে ৯জন প্রার্থী আবেদন করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আবেদনকৃত একজন প্রার্থী জানান, দুটি পদে পূর্বেই নিয়োগ চূড়ান্ত করে রাখা হয়েছে। অর্থের বিনিময়ে অধ্যক্ষ, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতিসহ সদস্যদের সঙ্গে যোগসাজশে তা করেছেন। আমার কাছে ১০ লক্ষ টাকা দাবী করেছিল। কিন্তু আমার পরিবারের পক্ষে টাকা দেওয়া সম্ভব না। অন্যান্য প্রার্থীরা অভিযোগ তুলে সাংবাদিকদের জানান, মোটা অংকের ঘুষ নিয়ে এ নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে, বিষয়টি সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করার দাবী তাদের। এদিকে, আগামী শনিবার (১৩ জানুয়ারি ২০২৪) এই নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও তার আগেই চাকরি প্রার্থী চুড়ান্ত করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলাম ও সভাপতি ড. মোঃ আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে। জানা গেছে, কম্পিউটার ল্যাব অপারেটর হিসেবে মহিবুল্লাহ আনাস রনি ও গবেষণাগার/ ল্যাব সহকারী হিসেবে হারুন অর রশিদকে চূড়ান্ত করা হয়েছে।সরেজমিনে চাকরি প্রার্থী ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আগামী শনিবার (১৩ জানুয়ারি ২০২৪) তারিখে জয়নগর আমিনিয়া হামিদিয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসায় দুইটা পদে নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু পরীক্ষার আগেই প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়ায় জনমনে ক্ষোভ এবং মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধের দাবী জানিয়ে নব নির্বাচিত সংসদ সদস্য এসএম আতাউল হক দোলনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন চাকরি প্রার্থী ও সচেতন অভিভাবকবৃন্দ। এ বিষয়ে জয়নগর আমিনিয়া হামিদিয়া ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার জানা মতে প্রার্থী চূড়ান্ত করার বিষয়টি সঠিক নয়। নিয়োগের জন্য প্রার্থীরা কারও সঙ্গে লেনদেন করেছেন কি না, তা তিনি জানেন না। সব নিয়ম মেনেই নিয়োগ পরীক্ষার আয়োজন করা হচ্ছে।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ