স্টাফঃ

রিপোর্টার গাজীপুর মহানগর সদর থানাধীন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন ৩১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ আলমাস মোল্লার বিরুদ্ধে ফেসবুকের মাধ্যমে ৩৩ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ পাওয়া গেছে।ফেসবুকের মাধ্যমে অভিযোগ সূত্রে জানা যায় তিনি আর কেউ নন তিনি হলেন ৩১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ঘনিষ্ঠ বন্ধু ও গাজীপুর সদর মেট্রো থানার শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদৃর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি জনাব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম (জিকু) গত বেশ কিছু দিন আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন ৩১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিল আলমাস মোল্লার একটি কল রেকর্ড ভাইরাল হয় সেই ভাইরাল হওয়া কল রেকর্ডে শুনা যায় যে ৩১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলমাস মোল্লা একটি মেয়েকে বলতেছে তোমার কোনো খবর নাই কেন? তোমাকে খুজে পাওয়া যায় না কেন? তখন অপর দিক থেকে মেয়েটি বলে আপনি কি আমার খবর রাখেন নাকি,আমি কি অবস্থা আছি? এর পরে কাউন্সিলর বলে তোমার বাসা অনেক দুরে আমি বাসা নিয়ে দিব আমার যাতা য়াতের সমস্যা হয় এবং তোমাকে না দেখলে আমার ভালো লাগে না।এরপর মেয়েটি বলে তাহলে আপনার যেখানে ভালো হয় শেখানে বাসা নিয়ে দিন, তাহলে আর কেউ বিরক্ত করতে পারবে না। আর আপনার ইচ্ছা মতো তখন আসতে পারবেন আপনার জন্য আমি আছি আপনি খালি আমার দিকে একটু ভালো নজর রাখবেন এবং আমার গার্মেন্টসের বেতন টা বাড়িয়ে দিবেন। এ বিষয়ে গাজীপুর টঙ্গী সহ ৩১ নং ওয়ার্ডে খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় যে কাউন্সিলর আলমাস মোল্লা একজন দুশ্চ চরিত্রের লোক এবং এই সব অভিযোগ সুত্রে সরোজমিন ঘুরে জানা যায় ৩১ নং ওয়ার্ডের বেশ কিছু লোকজন সাংবাদিকদের জানান কাউন্সিলর একজন খারাপ লোক তার ভয়ে আমারা নিরব হয়ে থাকি তার বিরুদ্ধে আমারা যদি মুখ খুলি তাহলে শে আমাদের মরে ফেলবে। এই কাউন্সিলর ইতি মধ্যে ৫টি বিয়ে করেছেন বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী।তার নমে গাজীপুরের বিভিন্ন থানায় রয়েছে একাধিক মামলা।এ দিকে ফেসবুকে অভিযোগ কারী আওয়ামীলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম জিকুর সাথে কথা হলে তিনি বলেন আমি গত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৩১ নং ওয়ার্ডে আলমাস মোল্লাকে কাউন্সিলর বানানোর জন্য রাত দিন পরিশ্রম করে ওয়ার্ডের প্রতিটি ঘরে ঘরে মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে তার জন্য এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জন্য ভোট চেয়েছি।এই আলমাস মোল্লা নির্বাচনের পিছে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেছি। ৩১ নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর নির্বাচনের আগে আমাকে বলছিলেন যে জিকু তুমি আমার আপন ছোট ভাই ও খুবই কাছের বন্ধু, তুমি আমাকে কিছু টাকা ধার দাও নির্বাচনের পরে তোমাকে দিয়ে দিব। তখন আমি তাকে বিশ্বাস করে আমার ব্যবসার ৩৩ লক্ষ টাকা ধার দেই কিন্তু এই বিশ্বাস ঘাতক বেইমান আলমাস মোল্লা নির্বাচনে পাস করার পরে আমি টাকা ফেরত চাইলে আমাকেও বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে আসছে।গাজীপুর সদর মেটাতে থানা শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এই অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে ৩১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলমাস মোল্লার মুঠোফোনে একাধিক বার কল করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি। ধারাবাহিক চলবে।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ