মোঃ হাফিজুল ইসলাম শান্ত স্টাফ রিপোর্টার

ঘূর্ণিঝড় মিধিলির আঘাতে পটুয়াখালীতে ঘরবাড়ি-গাছপালার তেমন ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে, আমন খেতের ধানে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে বলেন এই অঞ্চলের কৃষকেরা। কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত করেনি কৃষি অধিদপ্তর।

গলাচিপা উপজেলা ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের প্রান্ত কৃষক রাজা মিয়া,এরশাদ৷ ও পলাশ বলেন, ‘ধানে ফুল এসেছে এই সময়ে অতিবৃষ্টি ও বাতাসের কারণে ধানের চিটা ঝরে যাবে। ধান যখন ঘরে তোলা হবে তখন ধানের বদলে চিটা বেশি পাওয়া যাবে। বর্তমানে বেশি ঝড়-বৃষ্টি হওয়ায় ধান পানিতে ডুবে আছে। এতে কৃষি জমির ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এবিষয় উপজেলা কৃষি অফিসার আরজু আক্তার বলেন,৩৬হাজার ৫ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে,তবে ঘূর্ণিঝড় মিছিলির কারণে ৫হাজার ৬০০হেক্টর জমির ফসলের আংশিক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে,তার মধ্যে রয়েছে, ভুট্টা,খেশারি,সরিষা শাকসবজি তরমুজ ইত্যাদি।

পটুয়াখালী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘জেলায় এখন মাঠে ১ লাখ ৯১ হাজার ১১৯ হেক্টর জমিতে আমন ধান আছে। এরমধ্যে পাঁচ ভাগ ধান পেকেছে, যা কৃষক কাটা শুরু করেছে। ২০ ভাগ ধান আধা পাকা। এ ছাড়া ৭৫ ভাগ ধানের শিষে ফুল আছে, ঝড়-বৃষ্টিতে এসব শিষে চিটা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. নুর কুতুবুল আলম বলেন, ‘এখন পর্যন্ত তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। তবে, বেশ কিছু গাছপালার ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া আমনের ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।’

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ