ওমর ফারুক খান নাটোর জেলা প্রতিনিধিঃ

বড়াইগ্রাম উপজেলার রাস্তার কাজে ঠিকাদারের ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতি।স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) অর্থায়নে বড়াইগ্রাম উপজেলার বনপাড়া বাজার সংলগ্ন মেরিগাছা হাট রোড। বনপাড়া বাজার, শিবুর সোমেল থেকে বক্কুর মোড় পর্যন্ত ৩ হাজার মিটার রাস্তা নির্মাণ কাজে ঠিকাদার সাজদার হোসেন কাজে ব্যাপক অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। এলজিইডির ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে প্রকল্পে সড়ক মেন্টেনেস ও কার্পেটিং কাজের অনুকুলে প্রায় ২ কোটি ৭৭ লাক্ষ টাকা বরাদ্ধ দেওয়া হয়। বনপাড়া শিবুর সোমেল থেকে বক্কুর মোড় ৫নং মাঝগাঁও ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড রাস্তার পর্যন্ত ৩কিলোমিটার নির্মান কাজের এই অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। এ প্রকল্পের নির্মানকারী প্রতিষ্ঠান অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে রাস্তার দুই পাশের সোলডার দেওয়া হয় নাই। সাব্বেসে ৭০ % বালু, ৩০% খোয়া নিম্নমানের ইট খোয়াসহ নির্মান সামগ্রী ব্যবহার করা হচ্ছে রাস্তায়। বলে অভিযোগ তুলেছে এলাকাবাসী। এলাকাবাসী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির অনিয়মের অভিযোগের পর কাজ বন্ধ রাখার অনুরোধ করা হলেও এখনো অনিয়মের মাধ্যমে কাজ দিয়েই উক্ত কাজ সমাপ্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বারেন্দ্র কনেক্ট্রাকশন থেকে কন্টাক্টার কাজ নেওয়া ঠিকাদার সাজদার হোসেন। উপজেলা এলজিইডির প্রকৌশলী মোঃ রবিউল জানান, এই কাজে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর অধীনে টেন্ডারের চুক্তি মুল্য ধরা হয়েছে, ২কোটি ৭৭লাখ টাকা । স্থানীয়দের অভিযোগ, বড়াইগ্রাম উপজেলায় উন্নয়নমূলক কাজের জন্য সরকার বছর বছর কোটি কোটি টাকা বরাদ্ধ দিলেও সংশ্লিষ্টদের অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। প্রকল্প গুলোতে নিম্মমানের নির্মান সামগ্রী ব্যবহারের ফলে কিছু দিনের মধ্যেই রাস্তাটি ভেঙ্গে জলে যাচ্ছে সরকারি টাকা। কয়েক মাস যেতে না যেতেই ব্যবহার অনঅপযোগী হয়ে পড়ে এসব সড়ক। ফলে সরকারি বরাদ্ধে অবমুল্যায়নের ফলে দূভোগের শিকার হতে হয় এলাকাবাসীদের। অভিযুক্ত ঠিকাদার মো: সাজদার হোসেন, কাজের অনিয়মের বিষয় অস্বীকার করে অভিযোগের তোয়াক্কা না করে উল্টো এলজিইডি কাজ বুঝে নিবে এবং তাদের বুঝিয়ে দিবে বলে হুংকার ছাড়েন। সাংবাদিকের উদ্দেশ্য বলেন তোমরা যতপার পত্রিকায় লিখ। নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব ডাঃ সিদ্দিকুর রহমান পাটোয়ারী সাহেব বলেন এই রাস্তার কাজ জঘন্য ও নিম্নমানের। রাস্তা বিটুমিন কম দিচ্ছে, রাস্তার কাজ শেষ করতে না করতে ভেঙ্গে যায়। দুইদিন পর পর টেন্ডার নিয়ে আসে। কাজে নিম্নমান ও দূর্নীতি করে সরকারি লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে এক চক্রবাহিনী। আমার নির্বাচনী এলাকায় কোন রাস্তার কাজ অনিয়ম ও দূর্নীতি করতে দেওয়া যাবে না।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ