মাঘের অষ্টম দিনে দুপুর গড়িয়ে গেলেও তেমনভাবে সূর্যের দেখা মেলেনি রাজধানীতে; দেশের বেশিরভাগ এলাকা কুয়াশায় ঢাকা।

যশোর, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মাদারীপুর, কিশোরগঞ্জ জেলাসহ রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ।

আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক জানিয়েছেন, এমন আবহাওয়া অব্যাহত থাকতে পারে। রাতের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি কমে শীত আরও বাড়তে পারে।

সোমবার ভোর ৬ পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দিনাজপুর ও বদলগাছীতে দেশের সর্বনিম্ন ৮ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল টেকনাফে ২৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ভোরে ঢাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা নেমেছিল ১২ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এবার শীতে এটাই ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।

আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সোমবার সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় আকাশ অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা থাকতে পারে, সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা থাকতে পারে। কোথাও কোথাও কুয়াশা থাকতে পারে দুপুর পর্যন্ত।

আগামী ৪৮ ঘণ্টায় দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমে রাতের তাপমাত্রা বাড়তে পারে।

শীতের মধ্যেই বুধবার বৃষ্টির আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। বলা হয়েছে, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে হালকা থেকে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হতে পারে।

কুয়াশার কারণে সড়ক, নৌ ও আকাশপথে যান চলাচল বিঘ্নিত হওয়ার খবরও মিলছে প্রায় প্রতিদিনই। শীতের দাপটে ঠাণ্ডাজনিত অসুখবিসুখে ভুগছে শিশু ও বয়স্করা। ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষ পড়েছে বিপাকে।

পারদ ১০ ডিগ্রির নিচে নেমে যাওয়ায় কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট ও পাবনায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

দেশের বড় এলাকাজুড়ে তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে গেলে সেটি তীব্র শৈত্যপ্রবাহ হিসেবে বিবেচনা করে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

তাপমাত্রা ৬ থেকে ৮ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করলে মাঝারি এবং ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে সেটিকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ ধরা হয়।

চলতি মাসের দীর্ঘমেয়াদী পূর্বাভাসে জানুয়ারিতে দেশে একটি-দুটি মৃদু থেকে মাঝারি মাত্রার শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আভাস দিয়েছিল আবহাওয়া অফিস।

পোস্টটি শেয়ার করুনঃ